সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম), প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরা কাজিপাড়ার বাসিন্দা সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম। তাঁর শিশু কন্যা তোহা (৭)। তোহার গত শনিবার রাতে হঠাৎ জ্বর আসে। জ্বরের সঙ্গে দেখা দেয় সর্দি, কাশি ও প্রচণ্ড গায়ে ব্যথা। পরদিন সকাল হতেই জ্বর বেড়ে ১০৪ ডিগ্রি হয়ে যায় তোহার। স্থানীয় পল্লি চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে তাঁর চিকিৎসা চলে। কিন্তু তোহার জ্বরের দুদিনের মাথায় একই লক্ষণ নিয়ে জ্বরে আক্রান্ত হন তাঁর বড় ভাই আরহাম (৯)। এরপর জাহাঙ্গীর আলম নিজেও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েন।
শুধু জাহাঙ্গীর আলমের পরিবার নয়, আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে মৌসুমি জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্তের সংখ্যা সীতাকুণ্ডের ঘরে ঘরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন স্থানীয় পল্লি চিকিৎসকের পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় করছেন আক্রান্ত রোগীরা। তবে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের অধিকাংশই জ্বর, সর্দি, কাশি ও শরীর ব্যথায় আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার শিশু কন্যা তোহার জ্বর আজ বুধবার সকাল থেকে কিছুটা কমেছে। তবে আমার ও আমার ছেলে আরহামের জ্বর এখনো ১০৩ ডিগ্রিতে রয়েছে। আক্রান্ত তিনজনেই স্থানীয় পল্লি চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুয়ায়ী ওষুধ সেবন করেছি। তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য জ্বরে আক্রান্ত হলেও কেউ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাইনি।
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, এবারের জ্বরে সর্দি, কাশি সামান্য থাকলেও সারা শরীরে ছিল তীব্র ব্যথা। জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ছাড়ছে না। কমছে না শরীরের তাপমাত্রা।
সরেজমিনে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা প্রায় ৪০ শতাংশেরও বেশি রোগীই জ্বর, সর্দি, কাশি, ব্যথা ও শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছেন। বহির্বিভাগে চিকিৎসা শেষে আক্রান্ত অনেক রোগী বাড়ি ফিরছেন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে যারা বেশি সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক। গত এক সপ্তাহে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি ও বহির্বিভাগে প্রায় দেড় হাজার জ্বরের রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার বহির্বিভাগে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ২৫০ জন জ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজির মো. ইউনুচ বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে জ্বরের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে প্রতিদিনেই ১০ থেকে ১৫ জন রোগীর করোনার স্যাম্পল সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে পিসিআর পরীক্ষায় সকলের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা বেশির ভাগ রোগীই জ্বরে আক্রান্ত। প্রতিদিনেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা করোনায় নয়, ঋতু পরিবর্তনের প্রভাবে সবাই মৌসুমি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ডা. নুর উদ্দিন আরও বলেন, এটি মৌসুমি জ্বরের প্রকোপ। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের ওষুধের পাশাপাশি মাস্ক পড়া ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং করোনার পরীক্ষা করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল দিলেও সবারই করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরা কাজিপাড়ার বাসিন্দা সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম। তাঁর শিশু কন্যা তোহা (৭)। তোহার গত শনিবার রাতে হঠাৎ জ্বর আসে। জ্বরের সঙ্গে দেখা দেয় সর্দি, কাশি ও প্রচণ্ড গায়ে ব্যথা। পরদিন সকাল হতেই জ্বর বেড়ে ১০৪ ডিগ্রি হয়ে যায় তোহার। স্থানীয় পল্লি চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে তাঁর চিকিৎসা চলে। কিন্তু তোহার জ্বরের দুদিনের মাথায় একই লক্ষণ নিয়ে জ্বরে আক্রান্ত হন তাঁর বড় ভাই আরহাম (৯)। এরপর জাহাঙ্গীর আলম নিজেও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েন।
শুধু জাহাঙ্গীর আলমের পরিবার নয়, আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে মৌসুমি জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্তের সংখ্যা সীতাকুণ্ডের ঘরে ঘরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন স্থানীয় পল্লি চিকিৎসকের পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় করছেন আক্রান্ত রোগীরা। তবে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের অধিকাংশই জ্বর, সর্দি, কাশি ও শরীর ব্যথায় আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার শিশু কন্যা তোহার জ্বর আজ বুধবার সকাল থেকে কিছুটা কমেছে। তবে আমার ও আমার ছেলে আরহামের জ্বর এখনো ১০৩ ডিগ্রিতে রয়েছে। আক্রান্ত তিনজনেই স্থানীয় পল্লি চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুয়ায়ী ওষুধ সেবন করেছি। তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য জ্বরে আক্রান্ত হলেও কেউ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাইনি।
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, এবারের জ্বরে সর্দি, কাশি সামান্য থাকলেও সারা শরীরে ছিল তীব্র ব্যথা। জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ছাড়ছে না। কমছে না শরীরের তাপমাত্রা।
সরেজমিনে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা প্রায় ৪০ শতাংশেরও বেশি রোগীই জ্বর, সর্দি, কাশি, ব্যথা ও শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছেন। বহির্বিভাগে চিকিৎসা শেষে আক্রান্ত অনেক রোগী বাড়ি ফিরছেন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে যারা বেশি সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক। গত এক সপ্তাহে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি ও বহির্বিভাগে প্রায় দেড় হাজার জ্বরের রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার বহির্বিভাগে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ২৫০ জন জ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজির মো. ইউনুচ বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে জ্বরের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে প্রতিদিনেই ১০ থেকে ১৫ জন রোগীর করোনার স্যাম্পল সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে পিসিআর পরীক্ষায় সকলের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা বেশির ভাগ রোগীই জ্বরে আক্রান্ত। প্রতিদিনেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা করোনায় নয়, ঋতু পরিবর্তনের প্রভাবে সবাই মৌসুমি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ডা. নুর উদ্দিন আরও বলেন, এটি মৌসুমি জ্বরের প্রকোপ। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের ওষুধের পাশাপাশি মাস্ক পড়া ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং করোনার পরীক্ষা করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল দিলেও সবারই করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসছে।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে