Ajker Patrika

হিমাগারে মজুত করে কৃত্রিম সংকট, শিবগঞ্জে বেড়েছে আলুর দাম

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৩, ১২: ২৭
হিমাগারে মজুত করে কৃত্রিম সংকট, শিবগঞ্জে বেড়েছে আলুর দাম

পেঁয়াজ, চাল, ডাল, ডিমসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে যখন দিশেহারা মানুষ, তখন নতুন করে বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে আলু। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, হিমাগারে আলু মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছেন বড় ব্যবসায়ীরা। ভোক্তাদের দাবি, প্রশাসনের তদারকির অভাবে বাড়ছে আলুর দাম।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গতকাল বুধবার উপজেলার খুচরা বাজারগুলোতে প্রতি কেজি কার্ডিনাল জাতের আলু বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা, দুই সপ্তাহ আগে যা বিক্রি হয়েছিল ৩৫ টাকা কেজিতে। 

এসব বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, বড় ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভে আলু বিক্রি করছেন না, যার ফলে সরবরাহ কমে গিয়ে দাম বেড়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে মোকামতলা বাজারের আলু ব্যবসায়ী আব্দুল বারী জানান, ‘দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি আলু ৩৫ টাকায় বিক্রি করেছি। বর্তমানে দাম বাড়ায় সেই আলু ৪৫ টাকায় বিক্রি করছি।’ 

মহাস্থান বাজারের খুচরা আলু ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, ‘হিমাগারে গেলে ব্যবসায়ীরা আলুই বিক্রি করতে চান না। নিজেরা ইচ্ছেমতো দাম হেঁকে বসে থাকেন। আমরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনছি।’

উথুলি বাজারে আসা শিবগঞ্জ পৌরসভার বেড়াবালা পাইকপাড়া গ্রামের দিনমজুর এনামুল হক বলেন, ‘বাজারে এলে চোখে পানি আসে। সব জিনিসের দাম বেশি। ৫০০ টাকার বাজার করলে দুই দিন চালাতে পারি না। এখন আবার আলুর দামও বেড়েছে। আমরা কীভাবে বাঁচব?’ 

মোকামতলা হাটে বাজার করতে আসা মাদ্রাসাশিক্ষক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘হিমাগার ও বাজারগুলোতে প্রশাসন তদারকি না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এক দিনও প্রশাসনকে বাজার মনিটরিং করতে দেখলাম না। এ অবস্থায় বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে।’

শিবগঞ্জ উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পলাশ কুমার সরকার জানান, গত মৌসুমে শিবগঞ্জের ১৮ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। এসব জমিতে উৎপাদন হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন আলু। উপজেলায় ভোক্তা পর্যায়ে এক বছরে আলুর চাহিদা ১৫ হাজার ১৮০ মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ত আলু দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিদেশে বিক্রি করেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। বেশির ভাগ কৃষক আলু উৎপাদনের পর মৌসুমেই বিক্রি করে দেন। আর ব্যবসায়ীরা তা কিনে হিমাগারে মজুত করেন। বর্তমানে কৃষকের ঘরে কোনো আলুর মজুত নেই। তাই, হিমাগার থেকে সীমিত সরবরাহকৃত আলু এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে। 

কৃষি অফিস জানায়, বর্তমানে এই উপজেলায় সর্বমোট ১৫টি হিমাগার আছে। মৌসুমে এসব হিমাগারে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫১৭ মেট্রিক টন আলু মজুত করা হয়েছিল। বিক্রির পর বর্তমানে ৮২ হাজার ১০০ মেট্রিক টন আলু হিমাগারে মজুত আছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বেশির ভাগ হিমাগারে আলু কেনাবেচা বন্ধ রয়েছে। দু-একজন প্রান্তিক কৃষক তাঁদের সংরক্ষণে থাকা সামান্য পরিমাণ আলু খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন। আলুর বাজার আরও বাড়তে পারে এই আশায় হিমাগারে মজুত করা আলু বিক্রি করছেন না বড় ব্যবসায়ীরা। 

গত মঙ্গল ও বুধবার সরেজমিন শিবগঞ্জের আরএন্ডআর কোল্ড স্টোরেজ, সাহা হিমাগার, হিমাদ্রি লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি হিমাগারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অলস সময় কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আলু বিক্রি হচ্ছে খুব কম।  

এবার হিমাগার ভাড়াসহ ৬০ কেজির প্রতি বস্তা অ্যাস্টেরিক, ডায়মন্ড ও কার্ডিনাল আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করতে খরচ হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। বর্তমানে হিমাগারের সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১০০ টাকায়। আর দেশি পাকড়ি জাতের আলু হিমাগার ভাড়াসহ বস্তাপ্রতি খরচ হয়েছে দেড় হাজার টাকা, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬৫০ টাকায়। সংরক্ষণের মাত্র চার মাসের ব্যবধানে প্রতি বস্তা আলুতে ব্যবসায়ীদের মুনাফা হচ্ছে প্রায় ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা। 

শিবগঞ্জের আলু ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েক বছর যাবৎ হিমাগারে আলু রেখে লোকসান হয়েছে। তখন তো কোনো সাংবাদিককে নিউজ করতে দেখিনি। কেউ খোঁজও নিতে আসেনি। বাজারে অনেক সবজির দাম বেড়েছে। সে কারণে আলুর দামও বেড়েছে।’

মোকামতলা কাশিপুর আরএন্ডআর পটেটো কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই হিমাগারে শুরুতে ২ লাখ ৬৬ হাজার বস্তা আলু মজুত ছিল। এর মধ্যে বর্তমানে ১ লাখ ২০ হাজার বস্তা আলু মজুত আছে। 

তিনি বলেন, বেশির ভাগ হিমাগারেই কৃষকের চেয়ে ব্যবসায়ীরা আলু বেশি মজুত করেন। গত তিন বছর আলুতে লোকসান হয়েছে। এবার বাজার ভালো হওয়ায় ব্যবসায়ীরা লাভ করতে পারছেন। দাম আরও বাড়ার আশায় অনেকে আলু বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। 

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়ানোর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় ২২ বোতল উইন কোরেক্স ও ১০৫টি ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২

খুলনা প্রতিনিধি
মাদকসহ গ্রেপ্তার মো. আবুল কালাম সরদার। ছবি: সংগৃহীত
মাদকসহ গ্রেপ্তার মো. আবুল কালাম সরদার। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও খালিশপুর থানা-পুলিশ আলাদাভাবে দুটি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শনিবার রাতে এই অভিযান দুটি পরিচালিত হয়।

কেএমপির মিডিয়া শাখা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মহানগর ডিবি পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খালিশপুর থানাধীন নুরনগর মেইন রোড এলাকায় অভিযান চালায়।

মাদকসহ গ্রেপ্তার মো. আবুল কালাম সরদার। ছবি: সংগৃহীত
মাদকসহ গ্রেপ্তার মো. আবুল কালাম সরদার। ছবি: সংগৃহীত

অভিযানে মো. আবুল কালাম সরদার (৩৫) নামের এক ব্যক্তির শয়নকক্ষের খাটের নিচ থেকে ২২ বোতল কোডিন ফসফেটযুক্ত উইন কোরেক্স উদ্ধার করা হয় এবং তাঁকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আবুল কালাম ঝালকাঠি জেলার ভাংগাদেওলা গ্রামের মৃত আমির আলী সরদারের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে খুলনা মহানগর এলাকায় এই মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।

এদিকে কেএমপির অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খালিশপুর থানা-পুলিশ একই রাতে খালিশপুর হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০৫টি ইয়াবাসহ জয় কাজী ওরফে জুবায়ের (২৫) নামের এক মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ফরিদপুর জেলার রতনদিয়া গ্রামের ইসহাক কাজীর ছেলে। এই ঘটনায়ও সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।

কেএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) খোন্দকার হোসেন আহম্মদ এই বিষয়ে বলেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণ অভিযানের অংশ হিসেবে পৃথক পৃথকভাবে এই অভিযান দুটি পরিচালিত হয়। সমাজে মাদকের বিস্তার রোধে আমাদের এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ দিয়ে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক নাজমা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করায় বিদ্যালয়ে যান না। কিন্তু বিদ্যালয়ে না গেলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর হচ্ছে নিয়মিত। এতে বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাও মিলছে তাঁর। তবে নাজমা আক্তারের হয়ে স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন স্নাতকপড়ুয়া হেপি আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী। খাতায় নাজমা আক্তারের স্বাক্ষর করছেন হেপি। এমন ঘটনা নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার রোকেয়া সাত্তার চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধনু নদের তীরঘেঁষা নূরারীপুর গ্রামে ২০১৮ সালে স্থাপিত হয় রোকেয়া সাত্তার চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৭৪ শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।

ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমা আক্তার। তিনি ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। অভিযোগ রয়েছে, যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয়ে অনিয়মিত তিনি। বিদ্যালয়ে না গেলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর করছেন নাজমা আক্তার। সঙ্গে নিয়মিত বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাও নিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে নাজমা আক্তার ঢাকায় বসবাস করেন। তবে স্নাতকপড়ুয়া হেপি আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী নাজমা আক্তারের ‘ভাড়াটিয়া শিক্ষক’। ওই শিক্ষার্থী নাজমা আক্তারের হয়ে পাঠদানসহ শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। আর এই কাজে সাহায্য করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরীফা আক্তার।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে না আসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এর মধ্যে নাজমা আক্তার ঢাকায় থাকেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয় না।

গত ২৮ অক্টোবর ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষকের মধ্যে দুজন উপস্থিত। আর অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার বিদ্যালয়ে হাজির না থাকলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় তিনি উপস্থিত রয়েছেন। জানতে চাইলে স্নাতকপড়ুয়া শিক্ষার্থী হেপি আক্তার বলেন, ‘নাজমা ম্যাডাম ঢাকায় আছেন। এ জন্য কয়েক মাস তাঁর ক্লাস আমি নিচ্ছি। ম্যাডাম বলাতে তাঁর শিক্ষক হাজিরা খাতায় আমি “নাজমা” লিখে স্বাক্ষর করছি। এটা আমার ভুল হয়েছে।’

প্রধান শিক্ষক শরীফা আক্তার বলেন, ‘নাজমা আক্তার আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে অবৈধভাবে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে। আমি ভয়ে শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি জানাইনি।’

অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি অসুস্থ থাকার কারণে ঢাকায় আছি। হেপি আক্তারকে দিয়ে আমার শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করানো ঠিক হয়নি।’

খালিয়াজুরী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবু রায়হান বলেন, ‘নাজমা আক্তার নামের এক শিক্ষক ঢাকায় আছেন। বিদ্যালয়ে না এসেও অন্যজনকে দিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করাচ্ছেন বলে শুনেছি। এটি নিয়মবহির্ভূত। নাজমা আক্তারসহ বিদ্যালয়ের যারা এই কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার জন্য সুপারিশ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাইকগাছায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবককে উদ্ধার

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনার পাইকগাছায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রিপোন মাখাল (৩৫) নামের এক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে পাইকগাছা থানার পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসের সামনের একটি ডোবা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। তবে সেখানে তখন পানি ছিল না।

উদ্ধারের পর পুলিশ রিপোনকে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রিপোন মাখাল পৌর সদরের খ্রিষ্টানপাড়ার বাসিন্দা মিখায়েল মাখালের ছেলে।

যুবকের বাবা মিখায়েল মাখাল বলেন, ‘আমাদের ভাইদের মধ্যে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। গত ১৮ অক্টোবর ভাইদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। তখন আমার ছেলেকে আমার ভাই ও ভাইপোরা বসতঘরে মারধর করে। তখন আমার ছেলে রিপোন ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে আমি গিয়ে ছেলেকে থানা থেকে নিয়ে আসি।’

ছেলেকে পুনরায় মারধর করা হতে পারে আশঙ্কায় তিনি রিপোনকে অন্য কোথাও চলে যেতে বলেন। এর পর থেকে ছেলে ঠিকমতো বাড়িতে যেত না। মিখায়েল মাখালের ভাষ্য অনুযায়ী, পারিবারিক বিরোধের জেরে এই কাজ করা হতে পারে।

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নিরাপদ মন্ডল জানান, পুলিশ রিপোন নামের এক যুবককে রোববার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৫২
ঢাকার যানজট নিরসনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে সরকার। ফাইল ছবি
ঢাকার যানজট নিরসনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে সরকার। ফাইল ছবি

রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ কয়েকটি সংগঠন ও গোষ্ঠী দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে একযোগে কর্মসূচি শুরু করায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। যার প্রভাবে কোথাও কোথাও ব্যাপক জনভোগান্তি ও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এই জনভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

আজ রোববার (২ নভেম্বর) ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমপিওভুক্তির দাবিতে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তকরণ, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ এমপিওভুক্তকরণের দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে বেশ কয়েকটি সংগঠন অবস্থান করছে। এ ছাড়া চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট ও ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নন-ক্যাডারে নিয়োগ প্রদানের জন্য সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চলছে। যার ফলে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না।

ডিএমপি আরও জানায়, শত বাধা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবু অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে যানজট বৃদ্ধির ফলে যে জনভোগান্তি তৈরি হয়েছে, সে জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত