Ajker Patrika

ভোট কারচুপি: হিরো আলমের অভিযোগ ‘খতিয়ে দেখতে’ বললেন সিইসি

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯: ৩৯
ভোট কারচুপি: হিরো আলমের অভিযোগ ‘খতিয়ে দেখতে’ বললেন সিইসি

বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম ভোট কারচুপির যে অভিযোগ এনেছেন তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ বৃহস্পতিবার সিইসি টেলিফোন করে এই নির্দেশনা দিয়েছেন বলে বগুড়ার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপনির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার মাহমুদ হাসান জানান। 

মাহমুদ হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিইসি টেলিফোনে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে নন্দীগ্রাম উপজেলার ৪৯টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম মেশিনের ফলাফল পুনরায় যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। তাতে ফলাফল পাল্টানোর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

 ‘তবে প্রার্থী চাইলে ফলাফল নিয়ে যাচাই করে দেখতে পারেন।’ 

বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনে উপনির্বাচনে ১০টি কেন্দ্রের ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগ এনে গতকাল বুধবার রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা নির্বাচন কমিশনের নজরে আসার পর এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম কাহালু উপজেলার ফলাফলে এগিয়ে থাকলেও নন্দীগ্রাম উপজেলার ১০টি ভোট কেন্দ্রে ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। এই আসনে জাসদ প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

আজ দুপুরে হিরো আলম বগুড়া জেলা নির্বাচন অফিসে এসে বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ওঠাতে। আমি হাইকোর্টে রিট করবে। রিটার্নিং অফিসারের ওপর আমার আস্থা নাই। রিটার্নিং অফিসারের ঘোষণা করা ফলাফল আমি মানি না।’

হিরো আলম আরও বলেন, ‘আমি হাইকোর্টের আদেশে নির্বাচন করতে পেরেছি। ফলাফল নিয়েও বিচার চাইব হাইকোর্টের কাছে। আদালত ছাড়া আর কারও ওপর আস্থা নেই আমার।’ 

এদিকে নির্বাচনের পরপরই ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন হিরো আলম বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু দেখেছি। কিন্তু ফলাফলের জায়গায় গন্ডগোল করেছে; ভোটের ফলাফল পাল্টে দিয়েছে। আমি আদালতে যাব।’

এ সময় সাংবাদিকদের হিরো আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘সবাই বলেছেন, আপনি পাস করেছেন। ভোটাররাও ভোট দিয়েছেন। আমার এত ভোট গেল কই? ফলাফল ঘোষণা হওয়ার আগেই আওয়ামী লীগের লোকজন বলছে, মশাল জিতে গেছে; এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি।...আওয়ামী লীগের লোকজনও আমাকে ভোট দিয়েছেন। দল নয়, আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছেন। ওই ভোটগুলো গেল কই? এই ফলাফল আমি মানি না।’ 

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘কিছু কিছু শিক্ষিত লোক আমাকে মেনে নিতে চায় না। তারা ভাবে আমি পাস করলে দেশের সম্মান যাবে, অনেকের সম্মান যাবে। অফিসারদের লজ্জা যে—হিরো আলমেে “স্যার” বলে সম্বোধন করতে হবে। তাই আমাকে জিততে দেওয়া হয়নি।’ 

এর আগে গতকাল বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে মহাজোট সমর্থিত জাসদের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনের কাছে ৮৩৪ ভোটের ব্য্যবধানে হেরে যান। নির্বাচনে হিরো আলম পান ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। আর রেজাউল করিম তানসেন পান ২০ হাজার ৪০৫ ভোট।

যদিও নির্বাচন চলাকালে হিরো আলম জয়ের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে আমার জয়লাভের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আমি নির্বাচনী এলাকায় কাজ করছি।’ 

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আ.লীগের নেতা-কর্মীরা যেকোনো দলে যোগদান করতে পারে: নুর

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ পৌর মাঠে গণঅধিকার পরিষদের জনসভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হবিগঞ্জ পৌর মাঠে গণঅধিকার পরিষদের জনসভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আওয়ামী লীগের নিরপরাধ নেতা-কর্মীরা যেকোনো দলে যোগদান করতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। আজ বুধবার হবিগঞ্জ পৌর মাঠে হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে দলীয় এমপি প্রার্থীর সমর্থনে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নুরুল হক নুর বলেন, আওয়ামী লীগের যেসব নেতা-কর্মী কোনো অন্যায়-জুলুম করেননি, তাঁরা যেকোনো দলে যোগদান করতে পারেন। গণঅধিকার পরিষদ তাঁদের গ্রহণ করতে রাজি আছে। ৫ আগস্টের পর মামলা-বাণিজ্য করে অনেক নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে মন্তব্য করে নুর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের যাঁরা নিরপরাধ, তাঁদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে না—তাঁর (মির্জা ফখরুল) এ বক্তব্যের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদও একমত। আওয়ামী লীগের নিরপরাধ সাধারণ নেতা-কর্মীদের জন্য সব রাজনৈতিক দল উন্মুক্ত। তাঁরা জামায়াত, বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদ যে দল ভালো লাগে, সে দলে যোগ দিতে পারেন।

নুর আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণঅধিকার পরিষদের অনেক দাবি জুলাই সনদে গ্রহণ করেছে। আগামী নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে হবে। গণঅধিকার পরিষদ এখনো কোনো জোটে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। জুলাই অভ্যুত্থানের শরিকদের নিয়ে একটি জোট করার চেষ্টা চলছে। আগামী নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে। সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান ছাড়াও কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পুলিশ সুপারের বাসভবনে আগুন

মেহেরপুর প্রতিনিধি
পুলিশ সুপারের বাসভবন। ছবি: সংগৃহীত
পুলিশ সুপারের বাসভবন। ছবি: সংগৃহীত

মেহেরপুর পুলিশ সুপারের বাসভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বিকেল ৪টার দিকে শহরের কোর্ট মোড় এলাকায় অবস্থিত পুলিশ সুপারের বাসভবনের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হন সেখানে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের একটি দল দ্রুত সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, বাসভবনে অবস্থিত শীততাপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রটির বিস্ফোরণের ফলে এ ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাসভবনের ডাইনিং স্পেসটিতে রাখা ফ্রিজ, সোফা সেট, চেয়ার, টেবিলসহ অন্যান্য আসবাব পুড়ে গেছে।

বাসভবনে নিজে একা থাকেন জানিয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘খবর পাওয়ামাত্রই বাসভবনে এসে দেখি আগুন জ্বলছে। এখনো ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি।’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক সাকরিয়া হায়দার বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণ নিতে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আগামীকাল গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার ঘোষণা মালিক সমিতির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ৩১
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি । ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি । ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘রাজনৈতিক লকডাউনের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। আমরা এতে আতঙ্কিত না। জনস্বার্থে সবকিছুই স্বাভাবিক রাখা হবে।’

আগামীকাল বৃহস্পতিবার কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের ডাকা ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে আজ বুধবার রাতে আজকের পত্রিকাকে তিনি এসব কথা বলেন।

সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আজ বুধবার পর্যন্ত সারা দেশে ৭ থেকে ১০টি বাসে আগুন দেওয়ার খবর পেয়েছি। আমরা পুলিশকে অনুরোধ করেছি, তারা যেন গণপরিবহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। একটি বাসে সাধারণত চালক ও হেলপার থাকে। রাতে তারা গাড়ি থামিয়ে বিশ্রাম নেয়। সেই সময় কেউ যদি গিয়ে আগুন লাগায়, তা খুবই দুঃখজনক ও অন্যায়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গণপরিবহনকে ব্যবহার করা উচিত নয়।’

সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনায় পরিবহনমালিক-শ্রমিকেরা আতঙ্কিত না। আমরা সাবধানে চলাফেরার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি। বাস টার্মিনালে ও সড়কের পাশে—যেখানে পরিবহন পার্কিং করে রাখা হয়েছে–সেখানে পাহারা রাখার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশকে বিশেষ ব্যবস্থা রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’

এদিকে আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচির জেরে আজ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচলে কিছুটা প্রভাব পড়ে। অন্যান্য দিনের চেয়ে এ দিন ঢাকার সড়কগুলোয় ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি গণপরিবহন কিছুটা কম দেখা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্যবসায়ী নেতা হাতেমকে হেনস্তা, ছাত্রদল নেতার দুঃখপ্রকাশ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ৩৯
মোহাম্মদ হাতেম। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ হাতেম। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জে উদ্যোক্তাদের একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম হেনস্তার শিকার হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজ মিলায়তনে এ ঘটনা ঘটে। মুহূর্তে এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এদিকে আজ বুধবার রাতে সরকারি তোলারাম কলেজ শাখা ছাত্রদল সভাপতি মনির হোসেন জিয়া ওই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমি সরকারি তোলারাম কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি। কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জের শিল্পকলা একাডেমিতে একটি অনুষ্ঠানে এনসিপির এক নেতা হাতেম সাহেবকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর হিসেবে আখ্যায়িত করে।

‘যেটা বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে ভাইরাল হয়। গত মঙ্গলবার (গতকাল) সরকারি তোলারাম কলেজের একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে তিনি (মোহাম্মদ হাতেম) আসেন। অনুষ্ঠান চলাকালে কিছু সাধারণ ছাত্র/ছাত্রী অভিযোগ করে যে, সে একজন ফ্যাসিস্টের দোসর। আমাদের কলেজের অনুষ্ঠানে তিনি কি করে আসতে পারেন? অনেকেই আমাকে বারবার কলেজ থেকে তাকে বের করে দিতে বলে। একপর্যায়ে আমি আবেগপ্রবণ হয়ে তাকে কলেজ থেকে চলে যেতে বলি।

‘তার মত একজন সম্মানিত ব্যক্তির সঙ্গে এমন আচরণ কোনোভাবেই কাম্য না। আমি এ রকম আচরণ এর জন্য মোহাম্মদ হাতেম সাহেবসহ বিকেএমইএ’র সকল ব্যবসায়ীদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ব্যবসায়ী কারণে সব সরকারের সঙ্গেই তাদের সম্পর্ক রাখতে হয়, কিন্তু এই বিষয়টি আমি সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছি। ভবিষ্যতে আমার দ্বারা এ রকমটা আর ঘটবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত